উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান ‘ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড’ (ইডটকো বাংলাদেশ) সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ ও কক্সবাজারে সফলভাবে দুটি উইন্ড টারবাইন স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার ইডটকো বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইডটকো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যারিল সিনাপ্পা বলেন, “নবায়নযোগ্য শক্তিতে আমাদের প্রুপ-অব-কনসেপ্টস (পিওসি) এর অংশ হিসেবে আমরা উইন্ড টারবাইন দুটি স্থাপন করেছি।
“এটি উদ্ভাবনী এবং টেকসই উপায়ে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ অব্যাহত রাখতে আমাদের উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা একই সাথে কার্বণ নিঃসরণও হ্রাস করে।”
টেলিযোগাযোগ টাওয়ারের জন্য সফলভাবে উইন্ড টারবাইন স্থাপনের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম উদ্যোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “তিন মাস আগে কার্যক্রম শুরু করা উইন্ড টারবাইন প্রকল্পটি বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১২.১১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
“আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যুৎবিহীন যেসব এলাকায় বাতাসের গতি এবং টাওয়ার অবকাঠামো রয়েছে সে সব স্থানে উইন্ড টারবাইন স্থাপন করতে চাই।”
২০১৭ সালের মধ্যে আরও ১০টি উইন্ড টারবাইন স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান সিনাপ্পা।
পরিবেশবান্ধব উইন্ড টারবাইন টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর জন্য বিদ্যুতের বিকল্প উৎস; যা বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের উপর নির্ভরতা কমায় বলে জানায় ইডটকো।
এটি প্রথাগত উৎস থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চাহিদা পূরণ করতে পারে, যা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের বিদ্যুৎবিহীন অথবা অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে, এমন সব স্থানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি টারবাইন এক দিনে ১০ কিলোওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। যার ফলে এ প্রযুক্তিতে বিটিএস সাইটের জেনারেটর চালানোর জন্য ব্যবহৃত বাড়তি জ্বালানির মোট খরচ কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেলে টারবাইনে বিদ্যুতের উৎপাদন আট গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
উইন্ড টারবাইন আবহাওয়া জনিত যে কোনো রকমের সমস্যার মধ্যেও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সক্ষম। যেমন, ঘূর্ণিঝড়, দিন-রাত বা অন্য কোনো রকম প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর কার্যক্রম আটকে থাকে না। প্রতিকূল পরিবেশে অব্যাহতভাবে সাইট পরিচালনায় এর ফল পরীক্ষিত।
ইডটকো গ্রুপের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ এশিয়ার প্রথম আঞ্চলিক টাওয়ার সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যার কার্যক্রম রয়েছে ছয়টি দেশে।
চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের বাজারে এক দশমিক ৫ অনুপাতে কো-লোকেশনসহ ইডটকোর টাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি।
বিডিনিউজ
পাঠকের মতামত